ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনেও দেখা যায়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখা না গেলেও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের আগমুহূর্তে অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের সঙ্গে যাওয়া হয়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তখন তার না যাওয়া নিয়ে নানান ধরনের গুঞ্জনও হয়েছিল।
তবে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হয়। এ ছাড়া ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গেও পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা।
সফরে যেসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে- অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার, ভারতে বাংলাদেশের রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি সিস্টেমে ভারতের সহযোগিতা, ভারতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বাংলাদেশের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা, মহাকাশপ্রযুক্তিতে সহযোগিতা এবং প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতা।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পায়।
মন্তব্য