‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনিকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই’—নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে আবেগতাড়িত এক বিবৃতিতে ছাদখোলা বাসের কথা টেনে আনেন সানজিদা আখতার।
যে বিবৃতিজুড়ে কেবল নিজেদের অনুপ্রেরণা জোগানোর চেষ্টাই ছিল। সানজিদারা ঠিকই সেই অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো জিতে নিয়েছে সাফের শিরোপা। বাঘিনীদের এমন ঐতিহাসিক কীর্তির পর তাদের ছাদখোলা বাসের স্বপ্ন পূরণের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব স্তরে দাবি ওঠে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপিও বাঘিনীদের অবস্মরণীয় কীর্তির জন্য তাদের বরণ করে নিতে ছাদখোলা বাসের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। তার নির্দেশে সরকারের পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)-এর একটি বাসের ছাদ খুলে ফেলার কাজ চলছে।
কেবল ছাদ খুলে ফেলা নয় সেই বাসটির ওপরের ডেকের সিট সরিয়ে বাঘিনীদের উদযাপন করার পূর্ণ সুযোগ দিতে চায় তারা। এ ছাড়াও সাফের শিরোপাজয়ী স্টিকার এবং সাবিনা-তহুরা-কৃষ্ণাদের ছবি এবং ফুল দিয়ে সাজানো থাকবে সেই বাসটি।
আরটিভি অনলাইনকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে মতিঝিল ডিপোতে একটি ডবল ডেকার বাসের ছাদ খুলে ফেলা হয়েছে। তাদের উদযাপনের সুবিধার্থে আসনগুলোও সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে।
আমরা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গেও কথা বলেছি বাস সাজানোর বিষয়ে। বাসের মধ্যে স্টিকার এবং সুন্দর করে সাজানো হবে। আজ (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’
এদিকে শিরোপা জয়ের পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছাদখোলা বাসে শিরোপা উদযাপনের একটি ছবি পোস্ট করে ফাইনালের নায়িকা কৃষ্ণা রানি সরকার লিখেছিলেন, ‘এমন মুহূর্তের অপেক্ষায়।’
আরেক ফুটবলার মারিয়া মান্ডাও একই ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আমাদের হুডখোলা বাস।’
এখন কেবল বুধবার সকালের অপেক্ষা। এদিন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে নেপাল থেকে দেশে ফিরবেন বাঘিনীরা। এরপর এয়ারপোর্ট থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত বাঘিনীদের স্বপ্নের ছাদখোলা বাসেই হবে শিরোপা উদযাপনের আনন্দ।
মন্তব্য