পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে মারধর করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কথা নিজেই জানালেন নববধূ নুরে জান্নাত।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নববধূর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি এসব কথা জানান।
জানা গেছে, প্রবাসী স্বামী মনিরুল ইসলাম গত ২০ সেপ্টেম্বর নববধূকে নিয়ে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় হানিমুনে যান। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বিচে ঘুরতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিক নোমানসহ সহযোগীরা স্বামী মনিরুলকে মারধর করে প্রেমিকাসহ চলে যান।
এদিকে এ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ ধরে নোমান প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া গ্রামে শাহজাহান প্যাদার ছেলে হাসান প্যাদার (ছেলের ভগ্নিপতি) বাড়িতে আত্মগোপন করেন। পরে সংবাদ পেয়ে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তালতলী থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে নুরে জান্নাতকে বলতে শোনা গেছে, জোর করে আমাকে প্রবাসী মনিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আগে আরও একটি বিয়ে করেছেন। মনিরুল আমার চেয়ে অনেক খাটো। তার চেয়েও অনেক যোগ্য ছেলে আমাকে বিয়ে করতে এসেছিল। তবে আম্মু কিছুতেই মানছিল না। আমাকে শুধু বলেন এই ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে। আব্বু অসুস্থ হয়ে যাবে, এই ভয় দেখিয়ে আমাকে বিয়ে দেওয়া হয়। মনিরুলকে আমি সরাসরি বলেছি, আমাকে আপনার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিয়েতে আমার কেউ কোনো অনুমতিই নেয়নি।
প্রবাসী স্বামী মিথ্যা বলছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ওই ছেলে বলেছে, আমি তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কুয়াকাটা নিয়ে গিয়েছি। সেটা মিথ্যা। কুয়াকাটায় সেই ছেলেই আমাকে নিয়ে গেছে।
প্রেমিক নোমানকে নির্দোষ জানিয়ে নুরে জান্নাত বলেন, আমি যাকে পছন্দ করি, তার এখানে কোনো দোষ নেই। আমি তাকে মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে জানাই, এখানে থাকতে পারব না। তাই সে আসে।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, স্বামীকে মারধর শেষে প্রেমিকের সঙ্গে তালতলীতে ভগ্নিপতির বাড়িতে আত্মগোপন করে। খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানায় পাঠানো হয়েছে। প্রেমিক কর্তৃক প্রবাসী স্বামীকে মারধরের ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য