হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ রানে হেরেছে টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেন ইয়াসির আলী। অপরাজিত থাকেন দুই ছক্কা পাঁচ চারে ২১ বলে ৪২ রানে। ২ বলে ১ রানে অপরাজিত হাসান মাহমুদ।

পাকিস্তান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ওয়াসিম জুনিয়র। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া মোহাম্মদ নেওয়াজ ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দাহানি, হারিস রউফ, শাদাব খান একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে, পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৩তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে লিটন ও মোসাদ্দেককে ফেরান মোহাম্মদ নেওয়াজ। মোসাদ্দেক শূন্য রানে ফেরেন। এ ছাড়া লিটন ফিরেছেন ২৬ বলে ৩৫ রানে।

পরের ওভারেই ২৩ বলে ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। ৮ বলে ৮ রান করে ফেরে অধিনায়ক সোহান।

১৮ বলে ১৪ রানে বলে ফিরে ওপেনার সাব্বির। ১১ বলে ১০ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে মিরাজ। ওয়াসিম জুনিয়রের বলে আসিফ আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

এদিকে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নাম পাকিস্তান দল। ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান যোগ করে ফেরেন বাবর আজম। ২৫ বলে ২২ রানে বাবরকে ফেরান মেহেদি মিরাজ। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২২ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩১ রানে মাসুদ ফেরেন মাসুদ। নাসুমের বল দারুণ ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদ।

চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা হায়দার আলী ৬ রানে, তবে ওপেনার রিজওয়ান অবিচল ছিলেন। একপ্রান্ত আগলে লড়াই করেন তিনি। ৫০ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ দিয়ে পেসার তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া ৪ ওভারে ২২ রানে নাসুম এক উইকেট, ২ ওভারে ১২ রানে এক উইকেট নেন মিরাজ। তবে ব্যর্থ টাইগারদের সেরা বোলিং তারকা মুস্তাফিজ। ওভার প্রতি ১২ রান খরচে ৪৮ রান দিয়েছেন তিনি, থাকেন উইকেট শূন্য। এ ছাড়া আরেক পেসার হাসান মাহমুদও ছিলেন বেশ ছন্দহীন। ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট।

এদিকে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টাইগাররা। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একাদশে নেই। সাকিবের অনুপস্থিতিতে টস করেছেন নুরুল হাসান।