মুক্তিযোদ্ধার কোটা পেতে স্বামীর বোন বনে যাওয়া গৃহবধূ কারাগারে

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে স্বামীর সহযোগিতায় শ্বশুর শাশুড়িকে বাবা-মা বানানো কুড়িগ্রামের সেই গৃহবধূ সোনালী খাতুন এখন কারাগারে। সোমবার (১০ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মজনু মিয়ার আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হলফনামার মাধ্যমে বাবা মায়ের নাম পরিবর্তন করতে গিয়ে আটক হন তিনি।

পরে একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী বাদী হয়ে গৃহবধূ সোনালী খাতুন, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকু এবং উলিপুর পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল হুদাকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে সোনালীকে তোলা হলে বিচারক তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করেন। পরে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

সোনালী খাতুন নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুটি নাওডাঙা গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী। সোনালীর বাবার নাম রবিউল হোসেন এবং মায়ের নাম আছমা। তার পৈত্রিক বাড়ি উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছের নন্দু নেফরা গ্রামে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকতা এসআই জয়নুল আবেদিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে সোনালী খাতুনকে তোলা হয়। বিচারক তার ১৬৪ধারা জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেন।