গোয়া্ইনঘাটে মৎস্যজীবি স্বপনসহ ৬ জন অপহরণ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের

সিলেটের গোয়া্ইনঘাটে অপহরণের ১২ দিনেও মৎস্যজীবি স্বপন কে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।এঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় ২০ জনকে এজাহারভুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।অজ্ঞাতকারণে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার ও নিখোজ হওয়া স্বপন নম: নামের ১ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।গত ২৯ অক্টোবর

 সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার দিগলকুড়ি বিল থেকে অপহরণের এঘটনা ঘটে।স্থানীয় সংবাদ সুত্রে জানা যায়,গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দির গাও ইউনিয়নের দিগলকুড়ি নামক স্থানে বিল স্থানীয় লক্ষীর হাওর জলরমুখ গ্রামের মৎস্যজীবিরা ভোগদখল ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিল।গত ২৯ অক্টোবর রাতে একই ইউনিয়নের শিয়ালা হাওর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র সাবেক মেম্বার রইছ মিয়ার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র বাহিনী সেই বিলের বাধঁ কেটে মাছ লুট করতে যায়।এ সময় লক্ষীর হাওর জলুরমুখের মৎসজীবি রতন নমঃ নকুল বিশ্বাস, কাজল নম:কৃষ্ণ নম: তিলন নম: ও স্বপন নম:সহ কয়েকজন বাধঁ কাটতে আপত্তি জানালে রইছ মিয়াসহ তার সাথে থাকা বাহিনীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে ৬ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।তাদের কে একটি বাড়িতে আটকে রেখে তারা নির্মম ভাবে অত্যাচার ও মারপিট করতে থাকে।এসময় এলাকার স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে ও স্থানীয় প্রশাসনে খবর দিলে তারা এসে আটক ৬ঃজনের মধ্যে ৫ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হলে ও স্বপন নম:নামের এক মৎসজীবিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ ।হামলাকারীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যার উদ্যেশে গোপন করে রেখেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।এই ঘটনায় অপহ্নত স্বপন নমঃ এর ভাই মৎস্যজীবি রতন নম: বাদী হয়ে ১ নভেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং হল (০২(১১)২২।মামলার আসামীরা হলেন, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার শিয়ালা হাওর গ্রামের রইছ মিয়া,আহমদ আলী, শুক্কুর আলী, মোস্তফা মিয়া,হানিফ মিয়া, নবাব মিয়া,ফখর মিয়া,নজরুল ইসলাম, আবদুর রহমান, জাকির হোসেন,আলফত আলী, মতি মিয়া,ইউনুছ আলী, জাহাঙ্গীর মিয়া,ময়না মিয়া,দিলদার হোসেন,আলীম মিয়া,সাদেক মিয়া,বারিক মিয়া,আব্দুল্লাহ মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরো ও ১৫/২০ জন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো.শফিকুল ইসলাম খাঁন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মামলার পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে রয়েছে।তাদের গ্রেফতারে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশের গ্রেফতার তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা সর্বাধিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আসামী গ্রেফতারের।