দলের চাওয়ায় ‘বিব্রতকর' কাজটিই করে যেতে চান রিজওয়ান

ধুমধাড়াক্কা সংস্করণের ক্রিকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে প্রায়ই থাকে উল্টো সুর। স্প্রিন্ট নয়, তিনি ছুটতে থাকেন দূরপাল্লার দৌড়ের গতিতে। উত্তাল ঢেউয়ের সাগরেও তিনি অনেক সময় নিস্তরঙ্গ। এমন নয় যে তাকে এই রূপে দেখে স্তূতির জোয়ার বয়ে যায়। বরং সমালোচনার তীর ছুটে আসে। রিজওয়ানের তবু আপত্তি নেই। দলের প্রয়োজনকে আপন করে নিয়েই তৃপ্তি তার। 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সবশেষ ম্যাচে চট্টগ্রামে গোটা ২০ ওভার ক্রিজে থেকে রিজওয়ানের রান ছিল ৪৭ বলে অপরাজিত ৫৫। সেদিন ১০ ওভার শেষে তার রান ছিল ২৩ বলে ২০। 

আগের ম্যাচে যখন এক প্রান্তে ঝড় তুলছেন লিটন দাস, রিজওয়ান তখন আউট হন ১৮ বলে ১৫ রান করে। একই চিত্র ছিল এর আগের ম্যাচেও। পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলে লিটন আউট হন ২২ বলে ৪০ রান করে। কিন্তু রিজওয়ানের রান ৮ ওভার শেষে ছিল ১৯ বলে ১৬। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৫ বলে করেন ৩৭ রান। 

শুধু বিপিএলে নয়, রিজওয়ানকে এ ভূমিকায় দেখা যায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়েও। শুরুতে অনেকটা সময় নিয়ে পরে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তার এ ধরনের ব্যাটিং নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়ে আসছে। কখনো কখনো দলকে ভুগতেও হয়েছে। তবে অনেক সময়ই কার্যকর হয়েছে এ ব্যাটিং। 

‘এটি খুব কঠিন ভূমিকা। কখনো কখনো এটিকে খুব বিব্রতকর মনে হয়। তবে নিজের কাজটি আমি জানি। দল আমার কাছে যা চায়, সেটিই করতে চাই আমি। কোচ, অধিনায়ক, মালিকপক্ষ ও পুরো কুমিল্লা দলে সবাই আমার পারফরম্যান্সে খুশি। এমন একজনকে তারা চায়, যে গোটা দলের ‘অ্যাংকর’ হবে।’ 

রিজওয়ান বলেন, পাকিস্তান দলে যেমন, তেমনি সব জায়গায়, যে কোনো দলে খেলি না কেন, তাদের চাওয়া পূরণ করতে চাই। আমি সবসময় কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করি, প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ করি এবং সব কিছু ভেবে নিজের কাজটা করি। কখনো কখনো এটি বিব্রতকর। কারণ টি-টোয়েন্টিতে সবাই চার-ছক্কা ভালোবাসে, ৩৫-৪০ বলে ৬০-৭০ রান দেখতে চায়। কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচ জেতা এবং আমার পারফরম্যান্স যেন দলের জয়ে কাজে লাগে।

দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট এবি ডি ভিলিয়ার্সকে এ ক্ষেত্রে আদর্শ মানেন রিজওয়ান। তার মতো করেই পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলার চেষ্টা করেন বলে জানালেন পাকিস্তানের এ কিপার-ব্যাটসম্যান।