হবিগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলের ‘রাজকীয়’ বিদায়

ফুল সুসজ্জিত গাড়িতে চরে অবসর গেলেন পুলিশ কনস্টেবল বশির আহমেদ। দীর্ঘ ৩৭ বছর ৮ মাস ২৬ দিনের কর্মজীবন শেষে বিদায় বেলায় পেলেন রাজকীয় সংবর্ধনহবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের উদ্যোগে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক এ বিদায়ী সংবর্ধনা আয়োজন করেনশনিবার থানা চত্বরে বশির আহমেদের বিদায় সংবধর্নার আয়োজন করা হয়। তার অবসরকে স্মরণীয় করে রাখতেই এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে চুনারুঘাট থানা-পুলিশ।

চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়া থানার অন্যান্য কর্মকর্তা ও বশির আহমেদের স্ত্রী-কন্যাও তার বিদায়ী সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন।

বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সুসজ্জিত গাড়িতে করে চুনারুঘাট থানার পক্ষ থেকে বশির আহমেদকে নিজ বাড়ি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি পৌঁছান।

এর আগে সকালে চুনারুঘাট থানায় তাকে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয়।

কানাইঘাট উপজেলার বায়মপুর গ্রামের মৃত মৌলভী মহসিন মিয়ার ছেলে বশির আহমেদের জন্ম ১৯৬৬ সালে। পড়াশোনা করেছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। বশির আহমেদ ১৯৮৫ সালের ৫ ডিসেম্বর কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। এরপর দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে ৩৭ বছর ৮ মাস। চট্টগ্রামে যোগদানের পর একে একে বান্দারবান, সিলেট রেঞ্জ অফিস, হবিগঞ্জ সদরে এবং সর্বশেষ চুনারুঘাট থানায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বশির আহমেদ দুই মেয়ের জনক। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে।

কর্মজীবন শেষে এমন আয়োজনে মুগ্ধ বশির আহমেদ বলেন, পুলিশের চাকরিতে একজন কনস্টেবলের অবসর সাধারণ ঘটনা। সাধারণত কনস্টেবলদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেওয়া হয় না। কিন্তু আমার বেলায় ভিন্ন ঘটনা ঘটল। বিদায় সংবর্ধনাটি জীবনের স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। এভাবে আমাকে বিদায় দেওয়া হবে কখনও ভাবিনি।

এব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, অবসরকে স্মরণীয় করে রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিদায়বেলায় তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরাও আনন্দিত।।

া।