আজকের পত্রিকার সিলেট অফিস উদ্বোধন

আজকের পত্রিকার সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. গোলাম রহমান বলেছেন, আজকের পত্রিকা বাংলাদেশের অনেকগুলো পত্রিকার মধ্যে সাম্প্রতিক একটি পত্রিকা। অল্পদিনে এই পত্রিকাটি পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন, এই পত্রিকাটি সূধীমহলে প্রশংসিত হয়েছে। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি এই সংবাদপত্রটিকে একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে, দৃষ্টি নিরপেক্ষ, নির্মহভাবে সংবাদটি উপস্থাপন করে সংবাদের বিভিন্ন বিষয়-আশয় আলোচনা-পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ করে আমরা উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাঠকসমাজ কত সময় পত্রিকা পড়ে, কি চায়, সেটা গবেষণা করে আমরা পত্রিকায় সংবাদ উপস্থাপন করে থাকি। পাঠকের আগ্রহ-উৎসাহকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু নিয়ে আমরা আমাদের পত্রিকার পৃষ্ঠাগুলোকে সাজানোরশনিবার বিকেলে সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের হক সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় আজকের পত্রিকার সিলেট অফিস উদ্বোধন পূর্ব আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মো. গোলাম রহমান আরও বলেন, স্থানীয় সংবাদের যে গুরুত্ব, সেটা যারা যে স্থানে থাকে তারাই বুঝে। মানুষ তার আশপাশের সংবাদকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, দূরের সংবাদকে ততটা গুরুত্ব দেয় না। মানুষের সংবাদ জানার যে চাহিদা, সেটা তার মনোজাগতিক একটি প্রয়োজন। যেকারণে আমাদের আজকের পত্রিকা সারাদেশের স্থানীয় দৈনিক। আমাদের পত্রিকায় দেশসেরা বিভিন্ন অভিজ্ঞ সাংবাদিক রয়েছেন। সংবাদ বা তথ্যের যে চাহিদা, সেটা আমরা মাথায় রেখেছি। সেই চাহিদা পূরণের লক্ষ্য আমাদের অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছে।

আলোচনা সভায় আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেট) ইয়াহ্‌ইয়া মারুফের সঞ্চালনায় পত্রিকাটি নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, স্থানীয় দৈনিক সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নূর, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট আইনজীবি শহিদুজ্জামান চৌধুরী, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, নাগরিক মৈত্রী সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মু. আনোয়ার হোসেন রনি, সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, সংবাদপত্র পরিবেশক সিকান্দর আলী প্রমুখ।

পরে একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাশসহ অতিথিদের নিয়ে প্রফেসর ড. মো. গোলাম রহমান ফিতা কেটে অফিস উদ্বোধন করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে- বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, প্রথমআলোর সিলেট ব্যুরো প্রধান ও লোকসংস্কৃতি গবেষক সুমনকুমার দাশ, বাংলাদেশ বেতার সিলেটের সহকারি পরিচালক প্রদীপ চন্দ্র দাস, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমদ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সিলেটের সভাপতি বিলকিস আক্তার সুমি, সিলেট উইমেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুবর্ণা হামিদ, কবি ও ব্যাংকার সুমন বনিক, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন, ডেইলি স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দ্বোহা চৌধুরী, বিডিনিউজ২৪.কমের সিলেট প্রতিনিধি বাপ্পা মৈত্র, দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার মিঠু দাশ জয়, মাইটিভির সিলেট প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকাপোস্টের সিলেট প্রতিনিধি মাসুদ আহমেদ রনি, সাংবাদিক শাহিন আহমদ, সুব্রত দাস, ফারুক আহমদ, ব্যবসায়ী মো. লুৎফুর রহমান মোহন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাদ মোহাম্মদ, আজকের পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি লবীব আহমদ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি রিপন দে, কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবিদুর রহমান, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি মিনহাজ মির্জা, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি জামাল মিয়া, শাবিপ্রবি প্রতিনিধি তানভীর হাসান সহ সিলেটের সুশীল, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, দুইবছর ধরে আজকের পত্রিকা পড়ছি। ট্রেডিশনাল ধারা থেকে বর্তমানে পত্রিকাগুলো বেরিয়ে গেছে। উপসম্পাদকীয় লেখা এখন পত্রিকায় তেমন হয় না৷ সংবাদপত্রের অতিকথন এ বৈপরীত্যে দেখা যাচ্ছে। পত্রিকা এবং সাংবাদিকের ইতিকথা যদি এক না হয়, তাহলে সমস্যা। আজকের পত্রিকা প্রগতিশীল একটি পত্রিকা। সবাই এক হয়ে কাজ করলে পত্রিকাটি এগিয়ে যাবে।

সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নুর বলেন, আজকের পত্রিকার সম্পাদক একজন সাংবাদিকতার শিক্ষক। বর্তমানে কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পত্রিকাগুলো কোনোরকম ঠিকে আছে। সেই করোনাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠা হওয়া আজকের পত্রিকা বর্তমানে দেশের প্রথম সারির মিডিয়ায় ভালো অবস্থানে আছে৷ সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য পত্রিকায় রাখতে পারলে ভালো হয়।