ফের মিরপুর স্টেডিয়াম পেলো ডিমেরিট

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের উইকেট নিয়ে শুরু থেকে হয়েছে সমালোচনা। বিশেষ করে টেস্টের প্রথম দিন ১৫ উইকেট পতনের পরই শঙ্কা শুরু হয় ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়েও। অবশেষে সত্যি হলো তাই। বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ চারদিনে গড়ালেও দুই দল সবমিলিয়ে খেলেছে ১৭৮.১ ওভার। এরমধ্যেই দুই দলের উইকেটের পতন হয়েছে ৩৬টি। যার ৩১টিই ছিল স্পিনারদেকিউইরা জিতলে অধিনায়ক টিম সাউদি এমন উইকেটকে বাজে বলে উল্লেখ করেন। এরপর ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে এই ভেন্যুকে। দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনার পর ম্যাচ অফিসিয়ালদের উদ্বেগের ব্যাপারটি আইসিসির কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ম্যাচ রেফারি ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিড বুন। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টের পর মিরপুরের ‘গড়পড়তার নিচে’ বলে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিসেবার ৩৮টি উইকেটের মধ্যে ৩০টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। সে দফা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আপিল করলেও সে সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছিল। এবার আইসিসির দেয়া সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করতে চাইলে সেটি ১৪ দিনের মধ্যে করতে হবে বিসিবিকে। কোনো ভেন্যুর মাঠ ও উইকেটকে ‘আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ বা ‘অসন্তোষজনক’ রায় দেয়া হলে সেই ভেন্যু একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, ‘আনফিট’ বা ‘অনুপযোগী’ বলে রায় দেয়া হয় তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। ডিমেরিট পয়েন্ট কার্যকর থাকে ৫ বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেই ভেন্যু এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। ১২ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকে দুই বছরের।