কমলগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভ্রমমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগীসহ এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে চিকিৎসার সরঞ্জাম ও অনুমোদনবিহীন ঔষধ। সোমবার (২৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে, কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারের গ্রামের বাড়ী চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড হোটেলের ৩য় তলার একটি কক্ষ থেকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় সহযোগীসহ এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক তাৎক্ষনিক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আদালত বসিয়ে ভুয়া ডাক্তার ও তার সহযোগীকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং তাদের কাছে থাকা চিকিৎসার সকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, রংপুর জেলা সদরের নীলকণ্ঠ এলাকার সাইদুল ইসলামের পুত্র আসাদুজ্জামান (৪২) এবং তার সহযোগী আব্দুল কাইয়ুম (৩৫)। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভানুগাছ বাজার চৌমুহনী এলাকায় গ্রামের বাড়ী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে মানুষদের ভুয়া চিকিৎসা সেবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ মিয়া সহ পুলিশের একটি দল হোটেলের কক্ষে অভিযান চালান। এসময় চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তাদের বৈধ ডাক্তারির কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি রংপুর জেলা সদরের নীলকণ্ঠ এলাকার সাইদুল ইসলামের পুত্র ভুয়া ডাক্তার আসাদুজ্জামান (৪২)। পরে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কোন প্রমাণপত্র না পাওয়ায় সহযোগী আব্দুল কাইয়ুম (৩৫)সহ তাদেরকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে আসাদুজ্জামান (৪২) ও তার সহযোগী কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিৎলিয়া গ্রামের আরমান আলীর পুত্র আব্দুল কাইয়ুম (৩৫)-কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৫ কার্টুন ভেজাল ঔষধ, ১টি ল্যাপটপ, ১টি হিউম্যান হেলথ ডিজিট প্রেটিকশন সিস্টেম (ফুড সাপ্লিম্যান্ট) মেশিন, ১টি ডাক্তারি পরিচয়পত্র, ভিজিটিং কার্ডসহ শরীর মাপার বিভিন্ন সরঞ্জাম। পরে সকল ভেজাল ঔষধসহ তাদেরকে থানায় সোপোর্দ করা হয়। কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ভুয়া ডাক্তার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চিকিৎসার নাম করে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে এসব ভুয়া ডাক্তাররা। অভিযোগ পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি উপজেলা নাগরিকদের ভুয়া ডাক্তারদের খপ্পর থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন।