বড়লেখায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষকের চাচা আটক

কুলাউড়া প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে আলাউদ্দিন নামে পাশের বাড়ির এক যুবক ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগে পুলিশ ধর্ষকের চাচা নাজিম উদ্দিনকে শুক্রবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে। ভিকটিম ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর ইউপির দক্ষিণ পাটনা গ্রামের দরিদ্র পরিবারের কিশোরী ও স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা-মা গত ১ জুন মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (১৯) ঘরে ঢুকে দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। ধর্ষিতার চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে ধর্ষক আলাউদ্দিনকে আটক করেন। পরে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের চাচা নাজিম উদ্দিন ও সাইম উদ্দিন আটককারীদের ধস্তাধস্তি করে আলাউদ্দিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা ধর্ষক আলাউদ্দিন, তার চাচা নাজিম উদ্দিন ও সাইম উদ্দিনকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ধর্ষকের চাচা নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।