মৌলভীবাজারে ভাঙা 'ছাউনিতে' শিক্ষার্থী ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের পাশের ভাঙা যাত্রী ছাউনির জন্য ভোগান্তিতে ছাত্র-ছাত্রীরা। কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের প্রায় ২শত ছাত্রছাত্রীর আশ্রয়স্থল শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশের এই ভাঙ্গা যাত্রী ছাউনি। সরেজমিনে দেখাযায়, ফুলবাড়ি চা-বাগান থেকে যাত্রী ছাউনির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটারের কাছাকাছি। চা-বাগান থেকে স্কুল-কলেজের উদ্দেশ্যে আসার সময় শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশেই টিন বিহীন এই ভাঙ্গা যাত্রী ছাউনিটি। ছাত্র-ছাত্রীদের এই ভাঙ্গা যাত্রী ছাউনিতেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় বাস বা সিএনজি অটোরিকশার জন্য। অপেক্ষারত অবস্থায় ঝড় বৃষ্টি আসলে ছাত্র ছাত্রীদের ভিজতে হয় বৃষ্টির পানিতে। আর এই বৃষ্টির পানিতে ভিজে প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীদের যেতে হয় স্কুল বা কলেজে। এছাড়াও পানিতে ভিজে বই খাতা নষ্টসহ ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হয় নানা রকমের দুর্ভোগে। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সরকার চা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা যায় চা-বাগান গুলোতে ছাত্র ছাত্রী স্কুলমুখী হয়েছেন। তারই বাস্তব প্রমাণ ফুলবাড়ি চা বাগানের প্রায় এই দুইশত ছাত্রছাত্রী। কমলগঞ্জের ফুলবাড়ি চা-বাগানের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের পাশে থাকা এই টিন বিহীন ভাঙ্গা যাত্রী ছাউনি। আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টিতে আমার ক্লাস নাইনে পড়া মেয়ের বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার মেয়ের বই এখন আমি কিনে দিতে পারিনাই বলে সে আজ অনেক দিন স্কুলে যায়না। আমার বাগানের চা শ্রমিক কতটাকাই পাই বলেন যে বার বার বই কিনিয়া দিমু। এখন যুদি সরকারের পক্ষ থেকে এই যাত্রী ছাউনিটারে ঠিক করে দেয়া হয়। তাহলে আমরার (চা-শ্রমিকের) সন্তানের স্কুল কলেজে একটু শান্তিতে জাইতে পারবো। ফুলবাড়ি চা-বাগানের স্কুল কলেজ পড়ুয়া আরো কয়েকজন ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই যাত্রী ছাউনি ঠিক না-হয় তাহলে অনেক ছেলে মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ আমাদের কারোরই বার বার বই খাতা কিনার ক্ষমতা নেই। আর এই যাত্রী ছাউনী যদি দ্রুত সংস্কার করা হয়। তাহলে আমাদের ছেলে মেয়ের বই,খাতাসহ বৃষ্টিতে ভেজা থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া আমাদের ছেলে মেয়ে গুলো স্কুল কলেজে ভালো ভাবে যেতে পারবে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এখন যেহেতু বিষয়টি আমি জেনেছি, তাই বিষটির দ্রুত সমাধান উদ্যোগ নেওয়া হবে ।