জুড়ী উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন ১০ সেপ্টেম্বর

জুড়ী প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পনের বছর পর এই প্রথম আগামী ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্টিত হবে। রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় জেলার ৬ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পনের বছরে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। সম্ভাব্য সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীদের নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা আলোচনা সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ নিজ পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে অজানা আশংকা দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় কর্মীরা বলেন, শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হবে কি না? কাউন্সিলররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না? কোন কমিটি চাপিয়ে দেয়া হবে কি না? পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে না ছাত্রলীগ, যুবলীগের মত কমিটিহীন বা আংশিক কমিটি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হবে বছরের পর বছর ইত্যাদি প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে। তবে তাঁদের চাওয়া কাউন্সিলরদের ভোটেই যেন কমিটি হয়। সভাপতি পদে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে তিন জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন, হল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক ও জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম। সাধারণ সম্পাদক পদে মাসুক আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল খালিক সোনা, শাহাব উদ্দিন লেমন, শ্রীকান্ত দাস ও রিংকু রঞ্জন দাসকে নিয়ে কর্মীদের মুখে আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের আগস্টে জুড়ীকে প্রশাসনিক উপজেলা ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ২৮ নভেম্বর আব্দুল খালিক চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ৫১সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে জেলা আওয়ামী লীগ। ৯০দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৫বছরে তা করতে ব্যর্থ হয় আহ্বায়ক কমিটি। এই ১৫বছরে বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে মাত্র ১৪টি বর্ধিত সভা হয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল খালিক চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মুমীত আসুক, আজির উদ্দিন মাস্টার, সদস্য জাহানারা তৈমুছ, মনোহর আলী, মজম্মিল আলী, আব্দুল হাছিব, আব্দুর রাজ্জাক ফটিক, মাসুক আহমদ, নুরুল ইসলাম ফয়েজ, আছাদ উদ্দিন চৌধুরী, ডাঃ কাজী আকমল হোসেন, মকদ্দছ আলী মায়া মিয়া ও সর্বশেষ আজাদ চৌধুরী হাসিসহ ১৩সদস্য মারা যান। এই শূন্য পদ গুলো আহ্বায়ক কমিটি পুরণ করতে সক্ষম হয়নি। এমনকি প্রয়াত নেতাদের স্মরণে একটি শোক সভা বা দোয়া মাহফিলও করতে পারেনি এ কমিটি। তাছাড়া সদস্য নবীব আলী, অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন ও সেলিনা বেগম স্থায়ী ভাবে প্রবাসে পাড়ি জমালে এ পদ গুলোও শূন্য রয়। পনের বছরে উপজেলার পূর্বজুড়ী, পশ্চিম জুড়ী, গোয়ালবাড়ী, সাগরনাল ও ফুলতলা ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হলেও সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন সম্মেলনের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি। এমতাবস্থায় দীর্ঘ ১৫বছর পর আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়া কর্