বালু উত্তোলনের মহোৎসব, হুমকির মুখে ব্রিজ ও জমি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:মনু নদীর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। স্থানীয় ইজারাদার মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের শর্ত ও চুক্তি ভঙ্গ করে বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালু তুলে স্কুল প্রাঙ্গনে মজুদ করে রাখার কারনে একটি স্কুল মাঠে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কমলমতি শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে প্রান্তিক কৃষকদের কৃষিজমি ক্রমশই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে মনু নদীর উপর নির্মিত চাতলাপুর ব্রীজ। সোমবার (২৯জুলাই) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গজভাগ আহমদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকার মনু নদীর তীরবর্তী ইউসুফ সদর মৌজা এলাকায় সরজমিন গিয়ে এমন দৃশ্যই দেখা যায়। শুধু তাই নয় সমশের নগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট রোডে মনু নদীর উপর নির্মিত চাতলাপুর ব্রীজের পাশ থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে ব্রীজটি হুমকীর মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা জানায়, মনু নদী থেকে মাস খানেক থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা অব্যাহত রয়েছে। এবং এই বালু তুলে স্থানীয় গজভাগ আহমদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি বিকেল বেলা স্থানীয়রাও বঞ্চিত হচ্ছেন শারীরিক বিভিন্ন কসরত থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ক্রীড়ামোদী জানান, এলাকার যুবক ও খেলোয়াড়রা মাঠে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে। কিন্তুু মাঠে বালু থাকার কারণে আমরা এখনো বিকেল বেলা ফুটবল খেলা থেকে বঞ্চিত রয়েছে তারা। গজভাগ আহমদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাজুল ইসলাম জানান, আমরা কয়েকবার ইজারাদারদের বালু তুলে স্কুলে মাঠে রাখতে নিষেধ করেছি। কিন্তুু তারা শুনছে না। তারা বার বার সড়িয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত বালু স্কুল মাঠে স্তুুপ করে রাখা অব্যাহত রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা মধ্যাহ্ন বিরতির সময় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মনু নদীর ইজারাদার মো. বদরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, নিয়ম মেনেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর দক্ষিণপাশের্^র মৌজা থেকে বালি উত্তোলন করে স্তুপ ও বিক্রয় করার জন্য ঠিকমত যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় উত্তরপাশের্^ বিক্রয় সুবিধার জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন ভূমি-সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তাকীন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি অফিসে বাইরে আছি, খবর নিচ্ছি। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন মোবাইল ফোনে জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানার পর কুলাউড়ার ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।