জুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উদ্বোধনের ১১ মাসেও চালু হয়নি জরুরী ও অন্ত:বিভাগ

জুড়ী প্রতিনিধি :: ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধনের ১১ মাস অতিবাহিত হলেও জরুরী বিভাগ ও অন্ত:বিভাগ চালু হয়নি। তাছাড়া চালকসহ অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হলেও রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় দীর্ঘ ১০ মাস অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল উপজেলাবাসী। জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা গঠনের পর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। শুরু হয় ভূমি নিয়ে জটিলতা। দীর্ঘ দশ বছর পর উপজেলার বাছিরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩১ শয্যা উন্নীত হয় ৫০ শয্যায়। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তর করে নির্মাতা প্রতিষ্টান। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি সেটি উদ্বোধন করেন। চিকিৎসকরা প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগী দেখলেও প্রয়োজনীয় মালামাল ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাবে জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ এখনও চালু হচ্ছে না। তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী উদ্বোধনী সভায় ঘোষণার এক মাসের মধ্যেই চালকসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। কিন্তু গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় দীর্ঘ ১০ মাস অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে উপজেলাবাসী বঞ্চিত ছিল। স্থানীয়দের আন্দোলনের ফলে সম্প্রতি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস শুরু হয়েছে। এদিকে কোন বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই প্রায় ৯লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য বিভাগ কমপ্লেক্স বুঝে নিলেও নভেম্বর মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এক সাথে ৭ মাসে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৯০৪ টাকার বিদ্যুৎ বিল আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ বলেন, ৫০ শয্যার ক্ষেত্রে জুড়ীতে কোন বরাদ্দ হয়নি। ৩১ শয্যার কিছু মালামাল এসেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাবে জরুরী বিভাগ ও অন্ত বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে এখনও কোন সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে পিডিবি জুড়ী ফিডারের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনসারুল কবির শামীম বলেন, ওই সময় ঠিকাদার ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঠেলাঠেলিতে কেহ বিল নিতে চায়নি। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে বিল যৌক্তিক এবং তা পরিশোধের সুপারিশ করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ বিদ্যুৎ বিল মওকুফের আবেদন করেছে।