মৌলভীবাজারে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীর মর্যাদা মিলছে না গৃহবধূর

নন্দিত ডেস্ক:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীর মর্যাদা পাচ্ছেনা অসহায় রুজী। অভিযোগে জানাযায়, কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর কেচুলুটি গ্রামের দরাছত মিয়ার বড় ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকী (৪০) একই ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের আঃ রউফের কন্যা শারমিন আক্তার রুজিকে (২৫) সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শারমিন আক্তার বলেন ,বিয়ের পূর্ব থেকেই আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উভয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে শারমিন আক্তার বিয়ের পূর্বে গর্ভবতী হয়ে গেলে তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। সর্বশেষ ৪ সেপ্টেম্বর তারা উভয়েই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও শ্বশুর বাড়ি যাওয়া হয়নি নববধূ শারমিন আক্তারের। আবু বক্কর তাকে শ্বশুরবাড়ি না নিয়ে তারই বাবার বাড়ি রেখে যান । প্রায় সময় স্ত্রী শারমিনের বাবার বাড়ি এসে রাত্রি যাপন করতেন আবু বক্কর সিদ্দিকী। শারমিন শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এড়িয়ে যেতো। বিয়ের দুইমাস না পেরুতেই যৌতুকের টাকার জন্য নব শারমিন আক্তার কে যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য বল প্রয়োাগ করে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক(৪০) ও দেবর মোহাম্মদ মুন্না মিয়া (৩০)। নির্যাতিত পুত্রবধূ রোজিনা আক্তারের ভাষ্য মতে যদি যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা দিতে না পারে, তাহলে তাকে শ্বশুরবাড়িতে নেয়া হবেনা কখন। গত শুক্রবার (১৮ অক্টোব) দুপুরে শারমিন আক্তার নিজেই চলে যান শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তুুু বাড়ীর লোকজন তাকে ঘরের ভিতরে ঢুকতে না দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিরুপায় রোজিনা আক্তার শ্বশুরবাড়ির দরজায় বসে থাকেন শ্বশুরবাড়ির স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। পরে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে শারমিনকে তার বাড়ীতে দিয়ে আসে। অভিযোগ বিষয়ে আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহম্মদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছি কিন্তু উভয় পক্ষ সালিশ না মানায় উভয়পক্ষকে আইনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য অবহিত করি। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আনজির আহমেদ বলেন ,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাস্থলে এসেছি সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।