মৌলভীবাজারে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা

দেশব্যাপী ধর্ষণ বন্ধ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মৌলভীবাজারে আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে প্রগতিশীল বাম ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী এসে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে চৌমুহনা থেকে আন্দোলনরতরা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এসে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় আহত হন, ছাত্রফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, দপ্তর সম্পাদক রাজীব সূত্রধর, ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রইয়ান শিপু ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ সংসদের সাধারণ সম্পাদক শিহাব আহমেদ। পরে আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সভাপতি রেহনুমা রুবাইয়াৎ বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে আমাদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আন্দোলনে ছিলাম। তিনি বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে ছাত্রলীগ, চুরি-ডাকাতির সঙ্গে ছাত্রলীগ, সবকিছুতেই ছাত্রলীগ। একটা ভালো প্রোগ্রাম করলেও ছাত্রলীগ এসে হামলা করে। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক বলেন, ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্স উপস্থিত ছিল, তারা কি আপনাকে এ বিষয়টি জানায়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে হাতাহাতির বিষয়টি জানিয়েছে। হামলার বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের মৌলভীবাজার জেলার সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী আমীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।