প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের গোল

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হার সহ নিজেদের মাঠে বাজে পারফর্ম্যান্সের কারণে ভালো সময় যাচ্ছে না পিএসজির। ক্লাবের হয়ে একসাথে জ্বলে উঠতে পারেননি তিন তারকা মেসি-নেইমার-এমবাপে। অবশেষে গোল পেলেন তিনজনই। তাতে লিগ ওয়ানে লরিয়েন্টকে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মারিসিও পচেত্তিনোর দল।

বাংলাদেশ সময় রুববার (৩ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠে লরিয়েন্টের বিপক্ষে শুরুটা দারুণ করে পিএসজি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটের সময় আসে প্রথম সুযোগ। তবে বাঁ দিক দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে ভিতরে ঢুকে এমবাপের নেয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন লরিয়েন্ট গোলরক্ষক। আক্রমণের ধারা বজায় রেখে ম্যাচের ১২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফরাসি জায়ান্টরা। মেসির ফ্লিকে বল পেয়ে যান এমবাপে। ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে ফরাসি তারকা পাস বাড়ান নেইমারকে। মাটি কামড়ানো জোরালো শটে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

২৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে নিজেই। নেইমারের পাস থেকে বল পেয়ে তার পাস পেয়ে বাঁ দিকে বল বাড়ান ইদ্রিসা গেয়ি। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে চারপাশ দেখে নিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বর্তমান সময়ের সেরা এই তারকা। বিরতির পর নিজেদের ভুলে গোল হজম করে পিএসজি। মার্কিনিয়োসকে ব্যাকপাস দিতে গিয়েছিলেন আশরাফ হাকিমি। তবে বল লক্ষ্যে ছিল না। সুযোগ বুঝে ছুটে গিয়ে পিএসজি গোলরক্ষককে অসহায় বানিয়ে গোল করেন তেরেম মফি। এরপরের সময়টা কেবল পিএসজির।

৬৭তম মিনিটে হাকিমির পাস থেকে দলীয় তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপে। এ নিয়ে লিগ ওয়ানে ১৭ গোল হলো বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকার। এমবাপের গোলের পরপরই গোল করেন মেসি। যার কারিগর এমবাপে।

৭৩ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠে একজনকে কাটিয়ে মেসির দিকে বল বাড়িয়ে দেন এমবাপে। বাকিটুকু কেবল চোখজুড়ানো ওয়ান-টু-ওয়ানের ঝলক। তাতে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে অনায়াসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন তারকা। লিগ ওয়ানে এটা মেসির তৃতীয় গোল। ম্যাচের একদম শেষ সময়ে ৯০ মিনিটের মাথায় লরিয়েন্টের জালে শেষবারের মতো বল জড়ান নেইমার।

ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করার পথে নিশ্চিত করেন দলের ৫-১ গোলের বড় জয়। এই জয়ে ৩০ ম্যাচে ২১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।