পর্যটকশূন্য মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

পর্যটকশূন্য মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া, রাজনগর ও জুড়ী উপজেলার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার প্রভাব পড়েছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে। যার কারণে এবারের ঈদুল আজহায় আশানুরূপ পর্যটক সমাগম ঘটেনি দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্রে। যেখানে প্রায় সারা বছরই কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে।

তবে বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকের সমাগম একটু বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখানে পর্যটকের ঢল নামে। এই সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও বেশি হয়। এতে তাদের মুখে হাসি ফুটে। তবে এবারের ঈদুল আযহার ছুটিতে মাধবকুণ্ডে আশানুরূপ পর্যটক নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা হতাশ।

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, ঈদের দিন রোববার থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৩ দিনে মাধবকুণ্ডে সাড়ে ৩ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে; যা অন্য বছরের তুলনায় ১০ ভাগের ১ ভাগও নয়। বন্যার কারণে পর্যটক সমাগম কম হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

দেখা গেছে, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক এলাকা প্রায় ফাঁকা। স্থানীয় পর্যটকের পাশপাশি আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার হাতে গোনা কয়েকজন পর্যটক এখানে ঘুরতে এসেছেন। বেচাকেনা কম হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। তাই তাদের মুখেও হাসি নেই।

মাধবকুণ্ডে ঘুরতে আসা স্থানীয় শিক্ষক সাইদুর রহমান বাবর ও ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ বলেন, ঈদের ছুটিতে দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। তাই মাধবকুণ্ডে এসেছি। এখানে প্রায়ই আসা হয়। প্রকৃতির কাছাকাছি এলে মন ভালো হয়। বিশেষ করে এখানে পাহাড়ের উঁচুস্থান থেকে গড়িয়ে পড়া স্বচ্ছ জল মুগ্ধ করে। এজন্য বারবার ছুটে আসি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, কবির আহমদ বলেন, বছরে দুটি ঈদে পর্যটক একটু বেশি আসে। তবে এবারের ঈদুল আযহার ছুটিতে পর্যটক সমগাম কম হচ্ছে। বেচাকেনাও কম হচ্ছে।

বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, ঈদের দিন রোববার থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত যে পর্যটক এসেছেন তা অন্য বছরের তুলনায় খুবই কম। বন্যার প্রভাবে পর্যটক সমাগম কম হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ঈদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তেমন কোনো পর্যটক আসেননি। যারা ঘুরতে আসছেন তাদের বেশিরভাগ আশপাশের উপজেলার।

তিনি বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। এখনো কোনো সমস্যা হয়নি।