মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পরকীয়া প্রেমিকদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ ফখরুল ইসলামের স্ত্রী দিলারা বেগমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ এলাকা থেকে বিয়ানীবাজারের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দৌলতপুর বাজার সংলগ্ন কানলি ব্রিজ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগের দিন পুলিশ ফখরুল ইসলাম হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে তার মেজো ছেলে উজ্জল আহমদ, নিহতের স্ত্রীর ঘনিষ্টজন সেলিম উদ্দিন, মস্তাব উদ্দিন ও কবির আহমদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইটাউরী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ফখরুল ইসলামের স্ত্রী দিলারা বেগম (৪৫) একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরপুরুষে আসক্তির কারণে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে সোমবার রাতে ফখরুল ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়ির লিচুগাছে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
দিলারা বেগম, তার পরকীয়া প্রেমিকরা ও মেজো ছেলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে এলাকায় প্রচারণা করেন। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বোন সুফিয়া বেগম বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম, মেজো ছেলে উজ্জ্বল আহমদসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলায় করেন।
থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রী, ছেলেসহ ৫ আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহতের স্ত্রী দিলারা বেগম বিয়ানীবাজার পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কানলি ব্রিজের ওপর থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হত্যার মোটিভ উদঘাটনে আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে।
মন্তব্য