বিশ্বকাপের জন্য ৩০ ক্রিকেটারের ভাগ্য পরীক্ষা

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখনও স্কোয়াড গুছিয়ে নিতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদিকে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার শেষ তারিখ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। বিসিবি চাইছে এর একদিন আগে ১৪ সেপ্টেম্বর স্কোয়াড ঘোষণা করে দিতে।

কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের নতুন প্রধান টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট এখনও সব ক্রিকেটারকে পরখ করে নিতে পারেনি। ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়ার লক্ষ্যে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীরামের অধীনে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছে বিসিবি।

যেখান থেকে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে নির্বাচকরা। সর্বশেষ এশিয়া কাপে সর্বসাকুল্যে ১৫ জন ক্রিকেটারকে দেখার সুযোগ হয়েছে শ্রীরামের। চোটের জন্য সেখানে খেলতে যেতে পারেনি লিটন দাস, নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির রাব্বীরা।

শ্রীরাম অনুশীলন ক্যাম্পে এই ক্রিকেটারদের পরখ করে নেবেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত একাদশের বাইরে থাকা সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনদের দিকেও নজর থাকবে এই টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের।

তিন দিনের এই ক্যাম্পে সবমিলিয়ে ৩০ ক্রিকেটারকে পরখ করবেন এই ভারতীয় কোচ। এরপর নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন বিশ্বকাপের জন্য সেরা স্কোয়াড।

এই অনুশীলনে থাকা লিটন, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন, সোহানরা স্কোয়াডে থাকবেন বলে ধরে নেওয়া যায়। লড়াই হতে পারে ইয়াসির রাব্বী-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য। এই দুই ক্রিকেটারই একই পজিশনে ব্যাটিং করে থাকেন।

চোটের জন্য এশিয়া কাপে খেলতে না পারা ইয়াসিরকে নির্বাচকমণ্ডলী থেকে শুরু করে বিসিবির বেশি কর্তাব্যক্তিরা দলে চাইলেও অভিজ্ঞতার নিরিখে মাহমুদউল্লাহর টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে শোনা যাচ্ছে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ভোটও মাহমুদউল্লাহর পক্ষে।

সে ক্ষেত্রে দুইজনই স্কোয়াডে সুযোগ পেতে পারেন। তবে একজনকে অবশ্যই ডাগ-আউটে বেঞ্চ গরম করে বেশি সময় কাটাতে হবে। এদিকে বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদের স্কোয়াডে থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়। অন্য পেসারদের মধ্যে শরিফুল, সাইফউদ্দীন, হাসান মাহমুদরা নিজেদের প্রমাণ করতে পারলে ভাগ্য খুলতে পারে তাদেরও।