দুর্নীতি ইস্যুতে সাসপেন্ড আফ্রিদি

দুর্নীতি ইস্যুতে সাসপেন্ড হয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার আসিফ আফ্রিদি। খাইবার পাখতুনের হয়ে খেলা বাঁহাতি এই স্পিনার দুর্নীতি করে সাসপেন্ড হননি। বরং দুর্নীতি করার প্রস্তাব পেয়েও সেটা বোর্ডকে না জানানোতে এই শাস্তির শিকার হয়েছেন তিনি।

কেবল দুর্নীতি করার প্রস্তাব নয়, এই বাঁহাতি স্পিনার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অ্যান্টি করাপশন কোডের আরও দুটি আইন ভঙ্গ করেছেন। এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ না করলেও এই ক্রিকেটারকে ১৪ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানানোর সুযোগ দিয়েছে পিসিবি। এই সময়ের মধ্যে নিজের অবস্থান জানাতে ব্যর্থ হলে আরও বড় শাস্তি নেমে আসতে পারে এই ক্রিকেটারের ভাগ্যে।

ক্রিকেট থেকে সাসপেন্ড হওয়ায় পাকিস্তানে চলমান টি-টোয়েন্টি কাপে আর খেলতে পারবেন না আফ্রিদি। এ ছাড়াও এই বিষয়ে পুরোপুরিভাবে কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগ পর্যন্ত ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কিছুতেই যোগ দিতে পারবে না এই ক্রিকেটার।

পিসিবি এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কোন কোন অপরাধের জন্য চার্জ এনেছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি। তবে এটুক নিশ্চিত হওয়া গেছে পিসিবির অ্যান্টি করাপশন কোডের ৪.৭.১ ধারার অধীনে এই সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত পিএসএলে মুলতান সুলতানের হয়ে ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়ায় ৩৫ বছর বয়সী আফ্রিদি চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু মূল একাদশে সুযোগ পাননি।

আফ্রিদির আগে দুর্নীতি ইস্যুতে পিসিবিকে না জানানোতে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের উমর আকমল, মোহাম্মদ ইরফান এবং শাহজাইব হাসান।