দুই ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের

কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচের আগে জাতীয় দলের অনুশীলন দেখতে গিয়েছিলেন কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেখানে জামাল ভূঁইয়াদের কাছে দুটি জিনিস চেয়েছিলেন বাফুফে সভাপতিÑ একটি ডিসিপ্লিন এবং অন্যটি কমিটমেন্ট। গতকাল জাতীয় দলের সংবাদ সম্মেলন শেষে বাফুফে সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও কোচ হাভিয়ার কাররেরা। গতকাল দেশ ত্যাগের পূর্বে এই দুটি জিনিসের কথা স্মরণ করিয়ে দেন বাফুফে বস। এমিনেতেই নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে জামাল ভূঁইয়াদের চাপে ফেলেছেন স্বপ্না-কৃষ্ণারা। আসন্ন দুটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আগে চাপের বিষয়টি আড়াল করেননি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল নিজেও। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে মেয়েরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। তাদের এ জয়ে আমাদের ঘিরেও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। যা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। নিজেদের সেরাটা দিয়ে আমরাও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।’ ২২শে সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ও ২৭শে সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি খেলবে বগতকাল রাতে কম্বোডিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন দলের সদস্যরা। সেখানে অনুশীলনের পাশাপাশি ১৯শে সেপ্টেম্বর একটি আনঅফিসিয়াল ম্যাচও খেলবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। বাংলাদেশের প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা ম্যাচ দুটি সম্পর্কে বলেন, ‘২০ দিনে ১৬ ট্রেনিং সেশনে আমরা কাজ করেছি। কিছু ইনজুরি দুর্ভাগ্য রয়েছে। তারপরও আমরা দুই ম্যাচে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।’ আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে বরাবরই প্রত্যাশার বেলুন ফুলে ওঠে। মাঠের লড়াইয়ে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। কোন দৃষ্টিকোণ থেকে এবার দল নিয়ে আশাবাদী কাবরেরা? জবাবে এ স্প্যানিয়ার্ড কোচ বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের বোঝাতে চেষ্টা করেছি আমরা যে মানের ফুটবল খেলার প্রত্যাশা করছি, তা খেলার সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। এভাবে ছেলেদের উজ্জীবীত করার চেষ্টা করেছি। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ম্যাচ দুটি ভিন্ন হতে যাচ্ছে।’

কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে দ্বৈরথ ফিফা র‌্যাঙ্কিয়ের প্রশ্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রসঙ্গ টেনে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘কেবল এ দুটি নয়, আমার কাছে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ দুটি জিতলে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে।’ বাংলাদেশের জন্য এখনও সেটপিস বড় সমস্যা। জিততে হলে সে সমস্যা সমাধান করতে হবে উল্লেখ করে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘সেটপিস থেকে গোল খাওয়ার সমস্যা সমাধান করতে হবে আমাদের। এ নিয়ে আমরা ক্যাম্পে কাজ করেছি। আশা করছি, সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সেটপিস থেকে গোলও করতে পারবো।’ শুরুতে ২৭ জনকে ক্যাম্পে ডেকেছিলেন হাভিয়ার কাববেরা। প্রাথমিক দল থেকে চোটের কারণে ছিটকে পরেন বসুন্ধরা কিংসের মিডফিল্ডার সোহেল রানা। পরে এই তালিকায় যোগ দেন শেখ জামালের ডিফেন্ডার রায়হান হাসান। এরপর শেখ জামালের গোলরক্ষক মো. নাঈম ও মোহামেডানের তরুণ ফরোয়ার্ড শাহরিয়ার ইমনকে বাদ দিয়ে ২৩ সদস্যের দল রওয়ানা দেয় কম্বোডিয়ায়।

বাংলাদেশ দল গোলরক্ষক: আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো, মাহফুজ হাসান প্রিতম।

রক্ষণভাগ: ইয়াসিন আরাফাত, বিশ্বনাথ ঘোষ, রিমন হোসেন, তারিক কাজী, টুটুল হোসেন বাদশা, রিয়াদুল হাসান, ইসা ফয়সাল, রহমত মিয়া।

মাঝমাঠ: মাশুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ, জামাল ভূঁইয়া, রাকিব হাসান, আতিকুল রহমান ফাহাদ, সোহেল রানা, হেমন্ত ভিনসেণ্ট বিশ্বাস।

আক্রমণভাগ: সুমন রেজা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মতিন মিয়া, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, সাজ্জাদ হোসেন।াংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।