নেশায় বাধা দেওয়া এবং চড়-থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতেই খুন করা হয় নৌপুলিশ সদস্যকে। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঘাতক পুলক দাশ।
বুধবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার কাদিরগঞ্জ গ্রামের ক্ষীর মোহন দাশের ছেলে পুলক দাশ (২৮) একজন মাদকসেবী। ঘটনার আগের দিন (রোববার) তাকে মাদক সেবনে বাধা দেন মার্কুলি নৌপুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তাকে শাসান তিনি। কয়েকটি চড়-থাপ্পড়ও দেন বলে দাবি করেছেন পুলক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে গিয়েই তাকে খুন করে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো সহকর্মীদের নিয়ে মার্কুলি বাজারে যান কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে একটি ফ্ল্যাক্সিলোড ও বিকাশের দোকানে তিনি অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় আকস্মিকভাবে হামলা চালায় পুলক দাশ। এতে গুরুতর জখম হন কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম। তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এবং ওসি অজয় কুমার দেবসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই হত্যাকারী পুলক দাশকে গ্রেফতার করে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যায় পুলক দাশ ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করছে। মঙ্গলবার তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পুলক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে বুধবার তাকে আদালতে প্রেরণ করলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মন্তব্য