হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় ধর্মের বাবা-মা পাতিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে কিশোরী (১৬) ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
এ ঘটনায় মামলার পর অভিযুক্ত পরাজার সুন্নিয়া আশরাফ তালুকদার হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকির হোসেন পরাজার সুন্নিয়া আশরাফ তালুকদার হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাই ও বাবা সহ-সভাপতি। সেই সুবাদে জাকির হোসেনের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সুবাদে ভুক্তভোগীর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল ওই শিক্ষকের। একপর্যায়ে জাকির হোসেন কিশোরীর মা-বাবার সঙ্গে ‘ধর্মের বাবা-মা’ পাতান। পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার একপর্যায়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক জাকির।
কিশোরীর বড় ভাই বলেন, স্ত্রী ও ৪ সন্তান থাকা সত্ত্বেও ছোট বোনকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন।সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।পরে জাকির কৌশলে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে।এ ঘটনায় শনিবার রাতে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলার পর অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাকির হোসেন কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন।
মন্তব্য