মুম্বাইয়ে মহাকাব্য

সবকিছু সিনেমার মতোই লাগছে বিরাট কোহলির। মনে হয়, এই তো সেদিন ওয়ানডে ক্যাপটা পরেছিলেন আর আজ তিনি ৫০ সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন। যাকে দেখে ক্রিকেটে আসা, যাকে আইডল মানা, সেই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও দেখলেন কোহলির বিরাট কীর্তিটা। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে গতকাল বসেছিল তারার হাট। বলিউডের শহরে ক্রিকেটযুদ্ধ আর রুপালি পর্দার মানুষরা আসবেন না, তা কি হয়! সবাইকে সাক্ষী রেখেই কোহলি আরোহণ করলেন সেঞ্চুরির শৃঙ্গে। এক দিনের ক্রিকেটে এখন তাঁর চেয়ে বেশি শতক আর কারও নেই।

২০০৮ থেকে ২০২৩– প্রায় ১৫ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এমন দিন হয়তো আর আসবে না। বিশ্বকাপের মতো মহামঞ্চে দেশের হয়ে সেঞ্চুরিটা ইতিহাসের পাতায় লেখা হলো। স্ত্রী আনুশকা শর্মাও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলান না। যে কোহলি নকআউটে রানই করতে পারতেন না, তিনি গতকাল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রমাণ করলেন, চেষ্টা করলে কোনো কিছুই বৃথা যায় না। দিনশেষে ভারত ফাইনালের টিকিট হাতে পেয়েছে। কোহলি যা পেলেন, সেটার অনুভূতিও ফাইনালের চেতাই তো ইনিংসের বিরতিতে নিজেও এমন প্রাপ্তিতে রোমাঞ্চিত হয়েছেন, ‘এই অসাধারণ মানুষটা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটা সত্যি স্বপ্নের মতো। আমার জন্য এই অনুভূতি প্রকাশ করা খুব কঠিন। আমার জীবন সঙ্গিনী, আমার নায়ক ... তারা ওখানে বসে আছেন। ওয়াংখেড়ের এত এত দর্শক ... আসলে আমি নিজেও কিছুটা বিস্মিত।’

দলীয় রান চারশর কাছাকাছি, এমন দিনে অবদান রাখতে পেরেও খুশি কোহলি। সেই সঙ্গে নিজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের নেপথ্যের গল্পটাও শুনিয়েছেন তিনি, ‘প্রায় ৪০০ করে ফেলাটা দারুণ ব্যাপার। কৃতিত্ব দিতে হয় শ্রেয়াস আইয়ারকে। রাহুলও শেষটা ভালো করেছে। আমাদের জন্য অনেক বড় ম্যাচ এটা, আর আমি সেখানে নিজের কাজটা পালন করেছি। যাতে করে অন্যরাও নিজেদের মেলে ধরতে পারে। যেটা আমি বলেছি, আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলকে জেতানো। এই টুর্নামেন্টে আমাকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা চেষ্টা করেছি। ধারাবাহিকতার মূল চাবিকাঠি হলো, পরিস্থিতি অনুযায়ী দলের জন্য খেলা। আমি কেবল সেটাই অনুসরণ করেছি।’