কমলগঞ্জে সার কেলেঙ্কারি, আসামি ধরতে গিয়ে ধাওয়া খেলো পুলিশ!

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমোহনপুর চা বাগানের গুদাম থেকে ১৩ হাজার ৩ শত কেজি সার চুরির অভিযোগে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন বাগান ব্যবস্থাপক সোহাগ আহমেদ। মামলার আসামি করা হয় চা বাগানের টিলা হেডক্লার্ক জয়প্রকাশ কৈরী ও গুদামের স্টোর কিপার রাধেশ্যাম কাহারকে। এ ঘটনায় টিলা ক্লার্ক জয়প্রকাশ কৈরী ও স্টোর কিপার রাধেশ্যাম কাহার পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনার জেরে চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক সোহাগ আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ন্যাশনাল টি কোম্পানী। শনিবার (১৭ নভেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মনজুর রহমান পিপিএম (বার)।মদনমোহনপুর চা বাগান সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চা বাগানের স্টোর ভিজিট করতে আসেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের অডিট টিম। সেখানে রক্ষিত চালনের ৩৮০ বস্তা ইউরিয়া, টিএসপি সার এর জায়গায় ১১৪ বস্তা সারের হিসাব দেখাতে পারলেও বাকি ২৬৬ বস্তা সারের হিসাব দিতে বাগানের টিলা হেডক্লার্ক ও স্টোর কিপার ব্যর্থ হন।ফলে অডিট টিম তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সুপারিশ করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান ব্যবস্থাপক সোহাগ আহমেদ বাদী হয়ে বাগানের স্টোর কিপার ও টিলা হেডক্লার্কের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল আসামী ধরতে মদনমোহনপুর চা বাগানে গেলে স্টোর কিপার ও টিলা হেডক্লার্কের লোকজন বাগানে পাগলা ঘন্টা পিটিয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ আসামী রেখে পালিয়ে যায়।এদিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মনজুর রহমান, পিপিএম (বার) শনিবার দুপুরে মদনমোহনপুর চা বাগানের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় চক্রবর্তী, মদনমোহনপুরর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপকসহ পুলিশ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।এ বিষয়ে মদনমোহনপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক তকদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।