শ্রীমঙ্গলে ৪র্থ পর্যায়ে ১৪৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সব ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার সকালে জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ের নির্মিত ঘরগুলোর দলিল উপকারভোগী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ভূমিহীনদের মধ্যে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ পর্যায়ে একই দিন মৌলভীবাজার জেলার ১ হাজার ৬টি ঘরের মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩১০টি ঘর হস্তান্তর করা কথা থাকলেও এদিন প্রস্তুতকৃত ১৪৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়।
বাকি ১৬৮টি ঘর নির্মাণাধীন থাকায় পরবর্তী সময়ে উপকারভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
জমিসহ ঘর পেয়ে এরিমধ্যে উপকারভোগী দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন জানান, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে ৪র্থ পর্যায়ে প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীন পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সব দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আশ্রয়ের ঠিকানা গড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক উদ্যোগ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুলুছড়া, সিন্দুরখান ইউনিয়নের জাম্বুরাছড়া ও আশিদ্রোন ইউনিয়নে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
উপকারভোগী ভূনবীর ইউনিয়নের মৃত বাবুল মিয়ার স্ত্রী খুশবা বেগম যুগান্তরকে জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তার কোন আশ্রয়ের ঠিকানা ছিল না। তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। উপজেলার ডুলছরা এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর ইপহারের ঘর পেয়ে তিনি খুব খুশী হয়েছেন।
একইভাবে জাম্বুরাছড়া এলাকায় রঞ্জন দেব বর্মার স্ত্রী সঞ্জিতা রানী ঘর পেয়ে তার অনুভূতি ব্যক্ত করে জানান, তিনি চাঁটাই তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন, কিন্তু নিজের জায়গা ও ঘর ছিল না। আজ তিনি নিজের ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বলে জানান।
জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সন্দ্বীপ তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু দেব ভেবুল, সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শ্রভ্র প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের আওতায় এর আগে ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬৫০ জন ভূমিহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছিল।
মন্তব্য