ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ৯টার দিকে শহরের সর্ববৃহৎ মার্কেট মিলিপ্লাজায় আপন ও জুনেদ টেলিকম নামের দু’টি দোকানে এ ঘটনায়টি ঘটেদুটি দোকান থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরবিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী দোকানের মালিকগণ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।এ ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ মন্তব্য চলছে।
মার্কেট ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের সময় টি-শার্ট, প্যান্ট পরিহিত ৬-৮ জন যুবক পেছনে স্কুল ব্যাগ নিয়ে পৃথকভাবে উত্তরবাজারের মিলিপ্লাজা মার্কেটে প্রবেশ করেছে। তাদের সকলের মুখে মাস্ক লাগানো ছিলো। মার্কেটের দু’তলায় আপন ও জুনেদ টেলিকমের সামনে গিয়ে তারা একত্রিত হয়ে আবারো পৃথক স্থানে অবস্থান নেয়। এসময় দুটি দোকানের তালা কেটে দুই যুবক প্রবেশ করে বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন ব্যাগে ভরতে থাকে। বাকিরা মার্কেটের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারায় ছিলো। মাত্র ১০ মিনিটে ফিল্মি স্টাইলে দুটি দোকানের শতাধিক স্মার্ট ফোন নিয়ে মার্কেটের পেছনের গেইট দিয়ে অনায়াশে বেরিয়ে যায় তারা।
এদিকে এমন দুঃসাহসিক চুরির সিসিটিভির ফুটেজ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মাঝে নিন্দার ঝড় বইছে। অনেকেই কুলাউড়ার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন। চুরি, ছিনতাই, হত্যা, ধর্ষণ, মারামারি ও মাদকের ঘটনা কুলাউড়ায় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিগত দিনের তুলনায় বেশি।
জুনেদ টেলিকমের মালিক জুনেদ আহমদ এবং আপন টেলিকমের মালিক হাফিজুর রহমান লিটু জানান, সকাল ১০ টার দিকে তারা দোকানে এসে দেখতে পান একটি সাটারে নতুন তালা লাগানো। বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে পাশের সাটার খুলে দোকানে প্রবেশ করে দেখেন স্মার্ট ফোনের সেলফগুলো একেবারে খালি। দোকানভর্তি স্মার্ট ফোন ছিলো, এখন একটিও নেই।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কুলাউড়া ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং কুলাউড়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
লিটু জানান, তার দোকান থেকে স্যামসাং, অপ্পো, শাওমি, ভিবো ও নকিয়া ব্যান্ডের ৪৪টি নতুন স্মার্ট ফোন চুরি হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা।
জুনেদ জানান, তার দোকান থেকে স্যামসাং, অপ্পো, শাওমি, ভিবো ও নকিয়া ব্যান্ডের ৬০টি নতুন স্মার্ট ফোন চুরি হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা হবে। ক্যাশে রাখা ১৩ হাজার টাকাও চোরেরা নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন জুনেদ। সব মিলিয়ে দুটি দোকানের ১৯ লাখ ১৩ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) রতন কুমার দেবনাথ জানান, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার ও চোরদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।সিসিটিভি ফুটেজসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরদের শনাক্তে জোর তৎপরতা চলছে।
মন্তব্য