বিতর্কিত পোস্টে সমর্থন করে ফেসবুক পেজ হারালেন মিরাজ

তানজিম হাসান সাকিবের করা বিতর্কিত পোস্টে সমর্থন জানানোর একদিন পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হারালেন তারকা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে মিরাজ জানান, ‘ফেসবুক পেজ এখন ঠিক আছে। আর কোনো সমস্যা নাই।’

রাতে নিশ্চিত করলেও এখন অবশ্য মিরাজের পেজ গায়েব। নিজে ‘আনপাবলিশড’ করেছেন নাকি অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে সেটি আর জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মিরাজের পেজটি হয়তো রিপোর্ট করে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা তরুণ পেসার তানজিম সাকিবের পাশে দাঁড়িয়ে যখন পোস্ট দিয়েছিলেন তখন মিরাজের সেই পোস্ট নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মন্তব্য হয়। 

এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট করার কারণে হয়তো তাকে ব্লক করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপকমিরাজের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমি নিশ্চিত, তুমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে কিছু বলোনি। হয়ত তোমার উপস্থাপনাটা ভুলভাবে হয়ে গেছে এবং তুমি তা বুঝেছে। বাংলাদেশের সংবিধান ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সবাইকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতাও দিয়েছে। তেমনই ইসলামে নারীকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দেওয়া হয়েছে। কন্যা-সন্তানকে সবচেয়ে বড় এক নিয়ামত বলা হয়েছে, মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত বলা হয়েছে ও স্ত্রীকে সবচেয়ে বড় প্রশান্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে নারীবিদ্বেষের কথা তো এখানে আসেই না।’

‘সামনে তোমার এক দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে তোমার। শুভকামনা রইল তানজিম হাসান সাকিব, আল্লাহ তোমার সহায় হোক। সরল সত্যের পথে অটুট থাকো।’

মাসখানেক আগে এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তানজিম হাসান সাকিব বলেছিলেন- ‘ক্রিকেট আমার পেশা। এখান থেকে আমি উপার্জন করি; কিন্তু আমার আসল জীবন হলো... আমি পরকালে যদি সফল হতে না পারি তাহলে আসলে আমি ব্যর্থই থেকে যাব। আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি আল্লাহর জন্য। কারণ সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। কখন কে মারা যাবে, কেউ জানে না। তাই আমি চেষ্টা করি সবসময় ইসলাম মেনে চলার জন্য, ইসলামের মধ্যে থাকার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর এই জিনিসটা আমার খেলাকেও অনেক সাহায্য করে। আমাকে শৃঙ্খল থাকতে শেখায়। মানসিকভাবেও আমি শক্ত থাকি। আমার অন্য কোনো দিকে নজর যায় না, একদিকেই ফোকাস ধরে রাখতে পারি। এটা আমাকে দুনিয়া ও আখিরাত দুই দিকেই সাহায্য করছে।’