টানা ৬ হার। ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নের হয়েছে জলাঞ্জলি। সেমিফাইনাল খেলার আশা তো শেষই তার ওপর ২০২৫ এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যোগ্যতা অর্জনও শঙ্কায়। তাই শেষ দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এমনই সমীকরণ নিয়ে গতকাল দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দারুণ বোলিং করে টাইগাররা। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং উইকেটে ২৭৯ রানেই থামিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। জবাব দিতে নেমে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর রেকর্ড গড়া জুটির পর শেষের দিকে কিছুটা শঙ্কায় পড়েছিল দল। তবে শেষ পর্যন্ত তুলে নেয় ৩ উইকেটের কাঙ্ক্ষিত জয়। অন্যদিকে লঙ্কানরা এমন হার মেনে নিতে না পেরে মাঠেই ভেঙে পড়ে কান্নায়।শুধু তাই নয়, ম্যাচ হেরে তারা মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করেই। ম্যাচে যাই হোক, সাধারণত ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে হার-জিত যাই থাকুক হাত মিলিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। ম্যাচে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বিতর্কিত টাইমড আউট এর কারণেই এমন ঘটনা ঘটায় লঙ্কানরা।বিশ্বকাপে একই দিনে ছিল জোড়া সেঞ্চুরির হাতছানি। ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ গড়তে চলেছিল নয়া রেকর্ড। কিন্তু কোনোটাই হলো না। সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ১৭৯ রানের জুটি ভাঙার পর হঠাৎ করেই নিভে গেল সেই রেকর্ডের আশা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি থেকে ১৮ রান দূরে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৮২ রান। তবে তখনো ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের নাম বিশ্বকাপের সেঞ্চুরির রেকর্ডের পাতায় লেখার জন্য লড়ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯০ রানে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে। দু’জনকেই ফিরিয়ে বুনো উল্লাসে মাতেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তখনও বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৭ ভারে ৬৯ রান। হাতে অবশিষ্ট ৬ উইকেট। তবে একে একে রিয়াদ (২২), মুশফিক (১০), মিরাজ (৩) আউট হয়ে মরা ম্যাচে জান ফিরিয়ে দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তাওহীদ হৃদয় (১৫) ও এদিন বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম হাসান সাকিব (৫)।২৮০ রানের টার্গেটে শুরুতেই বাংলাদেশের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন কুমার দাস। তামিম ৯ ও লিটন করেন ২৩ রান। ৪১ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বড় বিপদের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে পুরানো ব্যাটিং অর্ডারে ফিরে তিনে শান্ত আর চারে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক সাকিব। তৃতীয় উইকেটে দু’জনের ব্যাট থেকে আসে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৮৯ রানের অপরাজিত জুটিটি ছিল সাকিব ও লিটন দাসের। ১২ চার ও ২ চারে ৬৫ বলে ৮২ রান করে আউট হন সাকিব। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়েন ঠিকই। আগেরটি ছিল গত আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব, মুশফিকুর রহীমের ১৪২ রান। ১২ চারের মারে ১০১ বলে ৯০ রান করে আউট হন শান্ত।
মন্তব্য