মৌলভীবাজারে ১২ দিনে বিএনপির ৩৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার

মৌলভীবাজারে ১২দিনে বিএনপির অন্তত ৩৬ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার বিএনপির নেতাকর্মীসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নাশকতা, সড়কে পিকেটিংসহ পুলিশি কাজে বাধা দেয়ার মতো নানা অভিযোগে মামলার আসামী রয়েছেন।বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।গ্রেফতারকৃতদের নেতাদের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী রয়েছেন। এসব মামলার অনেক আসামী পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।জানা যায়, গত বুধবার (৮ নভেম্বর) জেলা বিএনপির ৫ জন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলামও রয়েছেন। তাকে ৭ নভেম্বর রাতে জেলার সদর উপজেলার শমসেরগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।গ্রেফতারকৃ অন্যান্যরা হলেন-সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমান শফি, বিএনপি কর্মী তানভীর আহমদ, মো. ইনসান আলী, নাইম আহমদ।বুধবার (৮নভেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছে।এর আগে গত ৫ নভেম্বর অগ্নিসংযোগ, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা, যান চলাচলে ব্যারিকেড ইত্যাদি অভিযোগে মৌলভীবাজার সদরে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের আরও ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার কররে পুলিশ। ৫ নভেম্বর রাতে তাদেরকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।৯ নভেম্বর বিএনপি গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীরা হলেন- মো. সুজন আহমেদ (৩৮), সৈয়দ তানভীর আলী প্রকাশ সুমন (৩২),জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আহমদ (৪২), কাবুল মিয়া প্রকাশ কাবুল মেম্বার (৫৩), মো. জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫), ইকবাল হোসেন (৩৬), মো. মোস্তাফিজুর রহমান জীপু (৩৭)।এ দিকে মৌলভীবাজারে বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরপাকর অব্যাহত রাখায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান।তিনি বলেন, জেলা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ীতে বিনাকারণে পুলিশী অভিযান চালিয়ে বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। নির্বিচারে গ্রেফতার বন্ধ করে অবিলম্বে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।

যদিও জেলা পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত প্রত্যেক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।